কচু শাকের উপকারীতা

কচু খুবই আমদের কাছে পরিচিত একটি সবজি। এর পাতা শাক হিসেবে খাওয়া  যায়। বাংলাদেশের প্রায় সব এলাকাতে আনাচে কানাচে কচু জন্মাতে  দেখা যায়।


গ্রামের বাড়ি রাস্তার আশে পাশে অনেক জায়গায় কচু জন্মে।কচুশাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন 'এ'এর কারণে রাতকানা রোগ প্রতিরোধে কার্যকারী ভূমিকা রাখে।  

সূচীপত্রঃ





কচু খেলে কি ওজন বেড়ে যায়ঃ- 

না,ওজন কমাতে সাহায্য করে। কচুতে ক্যালেরির চেয়ে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে কচু খেলে পেট ভরে যায় এবং খাবারের পরিমাণ কমে যায়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের স্বাস্থ্যেকে ধরে রাখতে কচুর ভিটামিন এ,ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট অত্যন্ত উপকারী। 

কচু শাক খাওয়ার অপকারিতাঃ- 

কচুর শাকের অপকারিতাও সামান্য আছে। কচু শাক বা কচু খেলে অনেক ক্ষেত্রে গলা ধরে বা চুলকায়।কারণ এতে অক্সলেট নামক উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে। এইজন্য কচু রান্না করার সময় লেবুর রস  ব্যবহার করা উচিত।যাতে অক্সলেট উপাদানকে নষ্ট করে দেয়। 


কচু শাকের উপকারিতা নিম্নে বর্ননা করা হলো-

👉এই কচু শাকের ভিতরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম,ফসফরাস,ম্যাগনেসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ।      আমাদের হাড় ও দাঁতের গঠনে কচুর ভূমিকা অপরিসীম।তাছাড়া হাড় ক্ষয় রোগ প্রতিরোধে কচু               শাকের  গুরুত্ব অপরিহার্য।নিয়মিত কচু শাক খেলে শরীরের স্বাস্থ্যে ভালো থাকবে। 

👉কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে।এই আয়রন আমাদের শরীরের রক্তশূন্যতা থেকে রক্ষা করে। তা এই রক্তশূন্যতা রোগীদের জন্য কচু শাক খাওয়া বিশেষ জরুরী। 

👉কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে, যা খাবারকে অতি সহজে হজম করে। যেসব রোগীদের কোস্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তারা কচু শাক নিয়মিত খেতে পারেন।এতে রোগীদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরীভূত হয়ে যাবে। 

👉কচু শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যার ফলে এর  আয়রন উপাদান আপনার দেহকে অতি সহজে  নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের ঘা, ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তাই সব পিতা মাতার উচিত শিশুদের শৈশব কাল থেকেই কচু শাক খাওয়ানো। 

👉কচু শাকে অনেক পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। কচু শাক আমাদের রাতকানা, চোখে ছানি পড়া থেকে সাহায্য করে।চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি লাভের জন্য কচু শাকের তুলনাই হয়না। 

👉কচু শাক খেলে রক্তের কোলেস্টোরেল কমে যায়।তাই উচ্চ রক্তচাপের ভূক্তভোগী রোগীদের জন্য কচু শাক বেশ উপকারী।  প্রতিনিয়ত কচু শাক খেলে কোলোন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। 

👉কচু শাকে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে।গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য কচু শাক খুবই উপকারী।কচুর শাক আমাদের হাতের নাগালে তাই অতি সহজে আমরা খেতে পারি।তাই সব পরিবারের উচিত গর্ভবতী নারীদের ভিটামিন ও আয়রনের চাহিদা পূরণের জন্য কচু শাক খাওয়ানো।    

👉আমাদের শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ সচল রাখতে কচু শাক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।এই শাকের আয়রন ও ফোলেট রক্তকে বৃদ্ধি করে। এর ফলে অক্সিজেন সংবহন যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। এতে শরীরের ভিটামিন কে রক্তপাতের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

কচুর কোন অংশই ফেলে দেওয়ার নয়। কচুর মূল থেকে শুরু করে কচুর কান্ড, পাতা, ফুল, লতি সব কিছুই খাওয়ার উপযুক্ত।কচুতে আছে প্রচুর  পরিমাণে ভিটামিন যা দেহের জন্য খুবই উপকারী। তবে অনেকেই মনে করেন কচু খাওয়া বেশ ঝামেলার।তাই অন্য সব সবজি খেলেও কচু এড়িয়ে চলেন। আগাগোড়া খাওয়া যায় এই সবজির পুষ্টিগুণ অবাক করার মত।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

তাওহীদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url