পড়ালেখায় সফল হওয়ার উপায়

 

পড়ালেখায় সফল হওয়ার উপায় সম্পর্কে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। পরীক্ষায় ভালো ফলের আশা করতে হলে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়া ছাড়া কোন গতি নেই। পৃথিবীর কোন বৈজ্ঞানিক পড়ালেখায় অন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থা বের করতে পারেনি।

পড়ালেখায়-সফল-হওয়ার-উপায়

আপনি জানতে চেয়েছেন পড়ালেখায় সফল হওয়ার উপায় সম্পর্কে। বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়তে বসলেই রাজ্যের যত চিন্তাভাবনা চলে আসে, বারবার ফোন ধরতে ইচ্ছে করে, সময়ও চলে যায় ও কিছুই পড়া হয় না। এমন সমস্যায় যেসব ছাত্র-ছাত্রীরা ভোগেন, তাদের জন্য আমার লেখা এই পোস্টটি।

পেজ সূচিপত্রঃ  পড়ালেখায় সফল হওয়ার উপায়

পড়ালেখায় সফল হওয়ার উপায়

এখন আমরা পড়াশোনায় সফল হওয়ার উপায় সম্পর্কে কিছুটা জানতে পারি। কিভাবে ছাত্র জীবনে সফলতা হওয়ার অর্জন করা যায়, সেই বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করে থাকেন। আসলে আমরা প্রত্যেকেই ছাত্র জীবনের সফলতা পেতে চাই। ছাত্র জীবনে সফলতা পেতে হলে কঠিন অধ্যবসায়ের প্রয়োজন। লেখাপড়ার পাশাপাশি কিছু একটা কৌশল অবলম্বনও করতে হয়।

পড়ালেখায়-সফল-হওয়ার-উপায়


  • ভালো করে বুঝে পড়াশোনা করাঃ ছাত্র জীবনের সফলতা অর্জনের প্রথম সিঁড়ি হচ্ছে লেখাপড়া করা। তবে আপনি কি পরিতেছেন সেটা ভালোভাবে বুঝে তারপর পড়তে হবে। যে বিষয়টিতে আপনি বেশি পারদর্শী সেই বিষয়টিকে পরিপূর্ণ আয়ত্তে আনতে হবে। আর এভাবে লেখাপড়া করলেই আপনি ছাত্র জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
  • পড়া মুখস্ত করার পর লিখতে হবেঃ আপনি যে বিষয়টি ভালোভাবে মুখস্ত করলেন সেটি মনে রাখার জন্য আপনাকে লেখার অভ্যাসটা রাখতে হবে এবং বারবার লিখতে হবে। আপনি যে বিষয়ে পড়ে মুখস্থ করলেন সে বিষয়টি যদি আপনি লিখতে না পারেন তাহলে আপনার থাকার না থাকাটাই স্বাভাবিক, তাই মুখস্ত করার পর লেখার চেষ্টা করবেন।
  • গুছিয়ে কাজ করা প্রয়োজনঃ ছাত্র জীবনে আপনি যে কাজগুলো করবেন তা গুছিয়ে রাখবেন। কোন কাজ এলোমেলো থাকলে মাথার মস্তিষ্ক এলোমেলো হয়ে যায়, যার কারণে পড়ায় মনোযোগ বসেনা। তাই যারা প্রতিটি কাজ গুছিয়ে রাখতে পারে তারাই ছাত্র জীবনের সফলতা অর্জন করতে পারে।
  • পড়াশোনার জন্য সময় রুটিনের প্রয়োজনঃ ছাত্র জীবনের প্রতিটি কাজ রুটিন মোতাবেক চলতে হবে। অর্থাৎ আপনি কয় ঘন্টা ঘুমাবেন, কয় ঘন্টা খেলবেন এবং দিনে কয় ঘন্টা পড়তে চান, সে বিষয়ে আপনার রুটিন করতে হবে। নিশ্চিতভাবে আমি বলতে পারি এই রুটিন মোতাবেক চললে ছাত্র জীবনে সফলতা পাবেন।
  • পড়াশোনার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যকঃ শিক্ষাজীবনে আপনাকে সফল হতে হলে অবশ্যই পড়াশুনার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। গুরুত্বহীন ভাবে পড়াশোনা করে আপনি কখনোই শিক্ষা জীবনের সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। তাই সফলতা অর্জনের জন্য অবশ্যই পড়াশোনার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
  • সময় অপচয় রোধ করাঃ ছাত্র জীবনে সফলতা পেতে হলে কোনভাবেই সময় অপচয় করা যাবে না। আপনি আড্ডা দিয়ে বা অন্য কোন কারণে সময় অপচয় করবেন, ছাত্রজীবনী কখনোই সফলতা হতে পারবেন না। তাই আজ থেকে সময় অপচয় না করে সময়কে কাজে লাগান আপনি নিশ্চয়ই একদিন সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
  • ছাত্র জীবনে ব্যবহার ভালো করতে হবেঃ ছাত্র জীবনে আপনাকে সফলতা পেতে হলে অবশ্যই আপনার ভালো আচার-আচরণ করা প্রয়োজন। আপনি যদি উগ্র মেজাজের হন, মানুষের সাথে যদি খারাপ ব্যবহার করেন, তাহলে কখনোই সফলতার দ্বার গোড়ায় পৌঁছাতে পারবেন না। তাই আপনাকে হতে হবে শান্ত, শিষ্ট, ভদ্র এবং মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে।
  • পড়াশোনার সঠিক স্থান নির্বাচন করুন
  • যে জায়গায় পড়তে বসলে আপনি মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন, তা নির্ভর করে ছাত্র-ছাত্রীদের পছন্দের উপর। কেউবা নিরিবিলি পরিবেশে পড়লে পড়া মনে ধরে রাখতে পারে। আবার কেউ কোলাহলের শব্দের মধ্যেও পড়তে পারে। আপনার পড়াশোনা জন্য কোনটি সবচেয়ে প্রিয় বা ভালো জায়গা তা জানতে হবে আগে। বিশেষজ্ঞদের মতে পড়াশুনায় মনোযোগী হতে চাইলে এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখানে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা আছে। এতে চোখের উপর হালকা চাপ পড়ে এবং মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতা বজায় থাকে।
  • এছাড়াও পড়ার স্থান গুছিয়ে রাখার অনেকেই পরামর্শও দেন। করার জায়গা এলোমেলো থাকলে মনও অস্থির হয়ে ওঠে। তাই পড়তে বসার আগে যা যা লাগবে তা হাতের নাগালের মধ্যে রাখতে হবে। পড়ার জন্য নির্দিষ্ট স্থান থাকাটাও জরুরী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন একই জায়গায় করতে বসলে মস্তিষ্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে পড়ার মনোভাব তৈরি করে দেয়। যে স্থানে বসে খাওয়া দাওয়া চলে, বিশ্রাম নেওয়া চলে কিংবা আড্ডা দেওয়া হয়, সেখানে পড়তে না বসায় উত্তম।

বাস্তব সম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন

আমরা অনেক সময় অতি আনন্দে বড় বড় পরিকল্পনা করে ফেলি, কিন্তু পূরণ করতেন না পারলে আফসোস করে ফেলি। এতে ছাত্র-ছাত্রীর মনোবল ভেঙ্গে যায়। আত্মবিশ্বাস আগের চেয়ে কমে যায়। তাই শুরুতেই কঠিন পদক্ষেপ না নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আপনার লক্ষ্য যদি কয়েকটি খন্ডে ভাগ করে ফেলতে পারেন সবচেয়ে ভালো হয়। ছোট ছোট পদক্ষেপ এর মাধ্যমে বড় বড় লক্ষ্য পূরণ করতে সহজ হয়। যেমন-ইংরেজিতে এ প্লাস পাওয়া আপনার প্রধান লক্ষ্য, সেক্ষেত্রে পাঠ্যপুস্তক পুরোপুরি পড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বাস্তব-সম্মত-লক্ষ্য-নির্ধারণ-করা-প্রয়োজন

সে অনুযায়ী পড়ার রুটিন আরো কয়েকটি ভাগে ভাগ করতে হবে। সেটি হতে পারে প্রতিদিন চারটি বিষয়ে পড়া, এক সপ্তাহে বিগত বছরে তিনটি প্রশ্নের সমাধান করতে হবে। এভাবেই আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যগুলো ছোট ছোট পদক্ষেপে নিয়ে আরো সহজ ভাবে বাস্তবসম্মত করে তুলতে হবে।

মধ্যে মধ্যে বিরতি নিয়ে পড়ুন

একটানা পড়লে মনোযোগ তো আসেই না বরং মন আরোও অলস হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরপর বিরতি নিয়ে পড়াশোনা করলে মস্তিষ্কের ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং পড়া মনে থাকে। তাই ৩০ মিনিট পর পর দশ মিনিটের জন্য ছোট ছোট বিরতি নিন। এভাবে পাঁচ বার করে বিরতি নিবেন। তারপর একটি দীর্ঘ বিরতি নিয়ে থাকবেন, দীর্ঘ বিরতির মাঝে ব্যায়াম করবেন।

আরোও পড়ুনঃ হাত-পা অবশ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

হালকা একটু ঘুম দিবেন কিংবা শরীরে অলসতা আসলে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন কিংবা ক্ষুধা লাগলে হালকা কিছু খেয়ে সেরে নিতে পারবেন। এরকম আরো অনেক কৌশল রয়েছে, আপনার জন্য কোনটি পারফেক্ট তা জানুন এবং মেনে চলুন।

বিষয়ভিত্তিকের উপর অগ্রাধিকার থাকতে হবে

পড়তে বসার আগ মুহূর্তে কোন বিষয়ের উপর আপনি পড়বেন, সেই বিষয় অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা প্রয়োজন। এতে কোন বিষয়টি আগে এবং কোন বিষয়টি পরে পড়বেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আগে প্রাধান্য দিতে হবে। তাতে আপনার পড়ার সময়কে কার্যকর ভাবে কাজে লাগাতে পারবেন।

আরোও পড়ুনঃ এলার্জি দূর করার উপায়| প্রাকৃতিকভাবে এলার্জি থেকে সমাধান

প্রথমে কি করবেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হলে, আপনার লক্ষ্য অনুযায়ী কোনটি বেশি জরুরী সেটি আগে  সম্পন্ন করবেন। এভাবে ক্লাস টাস্ক কিংবা কোর্স ওয়ার্ক সম্পূর্ণ করতে গুগল ক্যালেন্ডার এর শরণাপন্ন হতে পারেন।

কিছু কৌশল মেনে চলা প্রয়োজন

পড়ায় মনোযোগ ধরে রাখতে কিছু স্মার্ট অভ্যাস কিংবা কৌশল মেনে চলা অতি প্রয়োজন। আলাদা বিষয় এর জন্য আলাদা রঙের ফ্লাসকার্ড তৈরি করে নিজের মত করে সংক্ষেপে কিছু তথ্য লিখে রাখতে হবে।পড়া অন্য জনকে বুঝিয়ে দেওয়া এবং বড় প্যারা ছোট অংশে বিভক্ত করা, নির্দিষ্ট সময় পর পর বার বার পড়া, একই বিষয়ে বিভিন্নভাবে কি কি প্রশ্ন আসতে পারে তা চিন্তা ভাবনা করা এবং তার উত্তর জানা প্রয়োজন।

ফোন থেকে দূরে থাকতে হবে

পড়ার সময় মনোযোগ থেকে দূরে রাখার প্রধান শত্রু হলো ফোন। পড়ার সময় বন্ধুদের সাথে বার্তা লেনদেন করতে গেলে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়। একজন সাধারণ মানুষ প্রতিদিন ৩ ঘন্টা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এর মধ্যে সময় ব্যয় করে। অথচ এই সময়টুকু পড়ায় ব্যয় করলে ছাত্র-ছাত্রী কখনো  হতাশ হবে না। তাই পড়ার সময় মোবাইল ফোন বন্ধ রাখুন যাতে আপনার পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট না হয়।

নিজেই নিজেকে পুরস্কার দিন

প্রতিটি লক্ষ্য অর্জনের পর বড় হোক ছোট হোক কোন কিছু পেতে মনের মাঝে আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে যায়। তাই মনটাকে প্রফুল্ল রাখার আশায় পড়ার মনোযোগ ধরে রাখাটার মজাই আলাদা। পুরস্কার কিন্তু বড় কিছু নয়। ছোট খাটো পুরস্কার দিয়েও আনন্দ উপভোগ করা যায়। সেটি হতে পারে প্রিয় অনুষ্ঠানের সিজন দেখা, টেক আউট খাবারের অর্ডার দেওয়া কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া। তবে আপনার লক্ষ্য থাকবে কতটুকু আপনি এগিয়েছেন সেটি মাথায় রাখতে কখনো ভুলবেন না।

পড়ুয়াদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলা

একা চলার চাইতে দলবদ্ধ ভাবে কোন কাজ করলে সেটি যেমন আনন্দময় হয়ে ওঠে, তেমনি লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হওয়ারও কোন ভয় থাকে না। ছাত্র জীবনের সব ক্ষেত্রে ভালো করতে হলে তোমার মত পড়াশোনা সহ সব বিষয়ে ভালো করতে চায় এমন ছাত্রদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। পড়ালেখা যেন ভালো হয় এমন একটি দল তৈরি করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রেই ভালো ছাত্রছাত্রীদের সাথে মেলামেশা করা প্রয়োজন।

বেশি বেশি প্রশ্ন করা

অনেকেই প্রশ্ন করতে ইতস্তত বোধ করে। তা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের সাথেই হোক বা অন্য কোথাও হোক বা সহপাঠীদের সাথেই হোক, যেকোনো জায়গায়ই ছাত্রছাত্রীরা প্রশ্ন করতে ভয় পায়। শিক্ষাজীবন হলো শেখার জীবন, এখানে ছাত্র ছাত্রীরা যতই প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নিবে ততই জ্ঞান লাভ করিবে। অহেতুক প্রশ্ন করে কোন জ্ঞান লাভ করা যায় না, এমন বিষয়ে প্রশ্ন করিবে যে বিষয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর কাজে লাগবে অর্থাৎ অর্থবহুল প্রশ্ন হতে হবে।

পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমেরও প্রয়োজন

পড়ালেখায় সফল হওয়ার উপায় এর মাঝে ঘুম অত্যাবশকীয় জরুরী। লেখাপড়ার মাঝে ঘুমকে কখনো অপ্রয়োজনীয়তা বলে স্বীকার করা যাবে না। পড়াশোনায় যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ঘুম না দিলে শরীর, মন ও মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে না। শরীর ও মন সুস্থ না থাকলে পড়াশোনায় কোন মনোযোগী আসে না, মনে রাখবেন জীবনের শেষ যুদ্ধে নেপোলিয়ন হেরে গিয়েছিলেন কিন্তু তার অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে।

নিয়মিত পড়তে হবে ও ক্লাস নোট নিতে হবে

অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা সারা বছর না পড়ে পরীক্ষার আগে পড়াশোনা করে, এতে একদিকে যেমন পরীক্ষার আগে মনের উপর চাপ পড়ে তেমনি পরীক্ষার ফল ভালো পাওয়ার আশা করা যায় না কিন্তু সারা বছর নিয়মিত পড়লে এরকম পরিস্থিতি রক্ষা পাওয়া যায়। ক্লাসে যা পড়ানো হয়, তার সব কিছুই পরে আমাদের মনে থাকে না এ জন্য ক্লাসনোট করা খুবই ভালো একটা কাজ। যখন একা একা পড়তে বসবেন তখন ক্লাসের সব কিছুই সহজে বুঝতে সাহায্য করবে।

আরোও পড়ুনঃ লাউ এর উপকারিতা

লেখকের মন্তব্যঃ পড়ালেখায় সফল হওয়ার উপায়

ছাত্র জীবনের শুধু লেখাপড়া করলেই নয়, পড়ালেখায় সফল হওয়ার উপায়ও খুঁজে বের করতে হবে। লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে হবে মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখতে হবে এবং সদা সর্বদা সত্য কথা বলতে হবে। বারবার ব্যর্থতাকে ঢেকে সফলতার দিকে এগিয়ে চলতে হবে।     

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

তাওহীদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url