মেয়েদের মাথার চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

মেয়েদের মাথার চুল পড়া বন্ধ করার উপায় অবশ্যই আমাদের জানা প্রয়োজন। চুল পড়া আমাদের নিত্যনতুন স্বাভাবিক ঘটনা। ছেলে হোক মেয়ে হোক চুল যে কেউ হারাতে পারে। ছেলেদের চুল হারালেও কোন সমস্যা নেই, কিন্তু মেয়েদের চুল হারালে তাদের সৌন্দর্যের অবনতি ঘটে। তাই এই কনটেন্টটি মেয়েদের চুল পড়া বন্ধ উপলক্ষে লেখা হয়েছে।

মেয়েদের-মাথার-চুল-পড়া-বন্ধ-করার-উপায়

আপনি এখানে জানতে চেয়েছেন যে, মাথার চুল বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে। আমিও আপনাকে মাথার চুল বন্ধ করার উপায় কি? কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া বন্ধের সমাধান সম্পর্কে জানিয়ে দেবো। চুল পড়ার সমস্যাটি মেয়েদের জীবনে একটি ট্রাজেডি হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই দ্রুত অবিলম্বে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া বন্ধ করা যেতে পারে।

পেজ সূচিপত্রঃ মেয়েদের মাথার চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

মেয়েদের মাথার চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

মেয়েরা হল সৌন্দর্যের পূজারী। বয়স যে দিকেই যাক না কেন তারা যেন সৌন্দর্যটা ধরে রাখতে চায়। তাদের সৌন্দর্য নিয়ে যেন প্রকৃতির নিয়ম মানতেই চায় না। প্রায়ঃশ অধিকাংশ মেয়েরা তাদের জীবনে কোন না কোন সময় চুল পরা প্রাকৃতিক প্রতিকার খুঁজে বেড়ান। তাই আমিও প্রাকৃতিককে মেয়েদের চুলের হাতিয়ার বানাতে চাই। তাই তাদের সৌন্দর্য যেন তাদের হাতে অটুট থাকে, সেজন্য ঘরোয়াভাবে কিছু পদ্ধতি ব্যবহার সম্পর্কে তুলে ধরা হলো-

  • গরম তেলের ম্যাসেজ
  • চুলে নারিকেল তেলের ব্যবহার
  • রোজ মেরি তেল ব্যবহার
  • অ্যালোভেরা ব্যবহার
  • পেঁয়াজের রস ব্যবহার
  • লেবুর তেল ব্যবহার
  • ডিমের মাস্ক ব্যবহার
  • মেথি বীজ ব্যবহার
  • সবুজ চা ব্যবহার
  • আমলার ব্যবহার
  • মেহেদি পাতা
  • চুল পড়া রোধে দই

মেয়েদের মাথার চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে উপরোক্ত উল্লেখিত ঘরোয়া পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক ভাবে চুল পড়া বন্ধ করার এটাই সমাধান। আপনার কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তারেরও প্রয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চুল পড়া বন্ধে এই ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করবেন না তা তো হয় না। কিছু কিছু রোগের কারণেও আপনার মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার ন্যাচারাল ভাবে চুল পড়া বন্ধের কোন সমাধান হবে না। স্বাভাবিকভাবে চুল পড়লে তাহলে আপনার এই ন্যাচারাল এন্টিবায়োটিক কাজ করবে।

গরম তেলের ম্যাসেজ

ঘরোয়া ভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্নে গরম তেলের মেসেজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চুল পড়া বন্ধ করার সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান হল গরম তেলের মেসেজ। গরম তেল দিয়ে আপনার মাথার ত্বকে মাসাজ করবেন। এই ম্যাসেজ তৈরি করবেন বাদাম কিংবা নারিকেল তেল হাল্কা গরম করে এবং এটি দিয়ে মাথার ত্বক ম্যাসেজ করবেন। আপনার চুলের ফলিকল রক্তের প্রবাহ বাড়াতে হবে। স্ট্রান্ডের শিকের শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। মাথার ত্বককে কন্ডিশনার করে রাখতে হবে।

চুলে নারিকেল তেলের ব্যবহার

আমাদের দেশের মেয়েরা আদিকাল থেকেই চুলে নারিকেল তেলের ব্যবহার করে আসছে। তারা ঘরোয়া ভাবে নারিকেল তেল তৈরি করে চুলে লাগাতো, তাই তাদের মাথার চুল পড়া কোন সমস্যা ছিল না। বর্তমানে অত্যাধুনিক নারিকেল তেল ব্যবহারের কারণে বাঙালি মেয়েরা তাদের মাথার চুল আর মাথায় ধরে রাখতে পারতেছে না। নারিকেলের তেলে রয়েছে লরিক এসিড, যা এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিডও বলে। যা চুলে শ্যাফট করে, ফলে প্রোটিনের ক্ষতি হয়।

আরোও পড়ুনঃ মধু কালোজিরা ও রসুন খাওয়ার উপকারিতা

যে নারিকেল তেল মাথার ত্বকের মাইক্রোবায়োকে উন্নতি করতে সাহায্য করে। চুলের ফলন এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যেকে উন্নতি করে। যখন মাথার চুল ধোঁয়ার আগে কয়েক ঘন্টা কিংবা রাতারাতি লিভ-ইনট্রিটমেন্ট হিসেবে চুল পড়ার ট্রিট ভালো কাজ করে। এখন আপনিও এটি মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন।

রোজ মেরি তেল ব্যবহার

আপনি কি জানেন? মেয়েদের মাথার চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এর জন্য কত গবেষণা চলছে। আমাদের মাথার চুল নিয়ে বৈজ্ঞানিকদেরও কম চিন্তা-ভাবনার বিষয় নয়। কিছু বৈজ্ঞানিক গবেষণা করে এই পরামর্শ দেয় যে, রোজ মেরি তেল চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া প্রতিরোধ করতে পারে অনেকাংশেই।আবার কিছু কিছু পরামর্শদাতারাও পরামর্শ দেন যে, অ্যান্ড্রয়েড-রোজেনিক অ্যাপেশিয়ার চিকিৎসার সময় এই চুল পড়া চিকিৎসার কার্যকারিতা সম্পর্কে মিনোক্সিডিলের সাথে তুলনাও করা যেতে পারে।

প্রধানত চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে রোজমেরি তেল ব্যবহার করা অতি প্রয়োজন। এই রোজ মেরি তেল আপনি কন্ডিশনার এবং শ্যাম্পুর সাথে যোগ করে মাথার চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তাই আপনি রোজ মেরি তেল ব্যবহার করে চুলের সুরক্ষা বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

অ্যালোভেরা ব্যবহার

মেয়েদের মাথার চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে অ্যালোভেরার গুরুত্বও কম নয়। চুল পড়া বন্ধের জন্য সবচেয়ে বড় ঘরোয়া প্রতিকারের মধ্যেও অ্যালোভেরা অন্যতম। এই এলোভেরা মাথার ত্বককে প্রশমিত করে, চুলকে করে কন্ডিশনার এবং চুলের ফলিক গুলো দেখায় ও খুশকি কমাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা সাথে চুলে কন্ডিশনার এবং শ্যাম্পু ব্যবহারের পাশাপাশি আপনার মাথার ত্বকে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন।

পেঁয়াজের রস ব্যবহার

চুলের যত্নে পেঁয়াজের রস ব্যবহার আপনার কাছে হাস্যকর মনে হতে পারে। পেঁয়াজের রস আপনি জানেন কি পেঁয়াজের রস চুলের কি উপকারে আসে? পেঁয়াজের রস চুলের বৃদ্ধি পেতে সহায়তা করে। চুলের প্যারচি অ্যালোপেসিয়া এরিয়ার নিরাপত্তা করতে সহায়ক। পেঁয়াজের রস রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। এটি চুল এবং মাথার ত্বকে প্রয়োগ করুন এবং ধোয়ার আগে ১৫ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। পেঁয়াজের রস শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। চুল পড়া বন্ধে পেঁয়াজের রস অত্যান্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

লেবুর তেল ব্যবহার

চুল পড়া রোধে লেবুতে কতটা গুরুত্ব তাও আপনি জানতে পারবেন এই পোস্টটিতে। আপনি নিজে নিজেই বাড়িতে চুল পড়ার সমাধান হিসেবে লেবু তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেল মাথার ত্বককে ঠান্ডা রাখে এবং চুলের বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক। লেবুতে একটি বায়ো-অ্যাকটিভ রাসায়নিক রয়েছে যা সিনাপিক অ্যাসিডপ পরিচিত চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মাথা শ্যাম্পু করার ১৫ মিনিট আগে আপনার চুল এবং মাথার চামড়ার লেবুর রস লাগান। এছাড়া নারিকেল তেলের সাথে লেবুর তেল মিশিয়ে পাতলা করতে পারেন। এটি আপনার চুলের মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

ডিমের মাস্ক ব্যবহার

ডিম চেনেনা এরকম মানুষ হয়তো পাওয়াই মুশকিল। আমরা জানি ডিম উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। তাই চুলে ডিমের ব্যবহার এটাকে হেলায় ফেলায় দেওয়া যাবে না। চুল পড়া রোধে সর্বোত্তম প্রতিকার হিসেবে ডিম অন্যতম। আপনার চুল গজানোর সাথে কাঁচা ডিমের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। আপনি একটি ডিমের মাস্ক প্রস্তুত করুন। তারপরে এটি আপনার স্ট্র্যান্ড প্রয়োগ করুন। আপনার মাথার চুল ধুয়ে ফেলার আগে ২০ থেকে ৩০ মিনিটে জন্য মাথায় রেখে দিন। তারপরে আপনি হাতেনাতে ফল ভোগ করুন।

মেথি বীজ ব্যবহার

আপনি হয়তো চেনেন না মেথি কি। মেথি হল এক ধরনের বীজ। আপনার চুল পড়া বন্ধে ঘরোয়া ভাবে মেথি বীজ ব্যবহার করতে পারেন। মেথি বীজ পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে পেস্ট করে ফেলুন। গোসলের ৩০ মিনিট পূর্বে মেথি বীজ পেস্টটি আপনার চুল এবং মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগান। তারপর মাথার চুল ভালো ভাবে ধৌত করুন। মেথি বীজ আপনার মাথার চুলকে রাখবে সতেজ ও সুন্দর।

সবুজ চা ব্যবহার

চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন সবুজ চা কিংবা গ্রিন টি, কেননা এতে রয়েছে চুল ভালো রাখার বিভিন্ন উপাদান। চুলের বৃদ্ধিতে সবুজ চা অত্যান্ত সহায়ক। এটি চুল গজাতে সাহায্য করে। সবুজ চাতে আছে ক্যাটেচিন যা চুলের ফলিককে চাঙ্গা করে মাথার ত্বক ও চুলের কোষের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে। চুলের বৃদ্ধি মূলত ত্বকে অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে। মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন না হলে চুলেরই ক্ষতি হয়।

আরোও পড়ুনঃ হাত-পা অবশ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

এক গবেষণায় দেখা যায় যে গ্রিন টি বা সবুজ চা গ্রহণ করলে ত্বকের রক্ত প্রবাহ এবং অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই চুল ভালো রাখতে গ্রীন টি পান করা যেতে পারে। এতে মাথার ত্বকের পুষ্টি সরবরাহ বাড়বে এবং চুলও বৃদ্ধি পাবে।

আমলার ব্যবহার

আপনার চুলের যত্নে রুটিনে আমলা কে অন্তর্ভুক্ত করা সহজ এবং কার্যকর। আমলার রস আপনার চুলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। আপনার চুল নরম এবং জুলযোগ্য করার জন্য আপনি শ্যাম্পু করার পরে যেমন কন্ডিশনার ব্যবহার করেন, আমলাও তাই করে তবে প্রাকৃতিক উপায়ে। আপনার চুলকে সুন্দর স্টাইলে গুছিয়ে রাখতে সহায়তা করে। নারিকেল তেলের সাথে হামলার চুলে মেহেদী দিলে চুলের গোড়া মজবুত হতে থাকে চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে চুলে খুশকি দূর করতে সহায়তা করে চুলের ওক্ষতা দূর করে চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে রস মিশিয়ে মাথার ত্বকে  ম্যাসেজ করুন।

দই কিংবা ডিমের সাথে আমলার রস মিশিয়ে হেয়ার টনিক তৈরি করুন। এই হেয়ার টনিকটি আপনার চুল এবং ত্বকে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের জন্য মেখে রেখে দিন। তারপর মাথায় শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের কন্ডিশনিং ভারসাম্য পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করে।

মেহেদি পাতা

চুলের নানামুখী সমস্যাগুলোর মধ্যে চুল পড়া হল অন্যতম। আপনি চুল পড়ার রোধে মেহেদি পাতা ব্যবহার করে এই সমস্যা হতে খানিকটা হলেও মুক্তি পেতে পারেন। প্রথমে মেহেদি পাতা গুলো ভালোভাবে পিষে অলিভ ওয়েলের সাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করবেন। তারপর ওই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে একবার করে মাখুন। তারপর ফলাফল নিজের চোখেই দেখুন।

আরোও পড়ুনঃ এলার্জি দূর করার উপায়

কোন ধরনের শ্যাম্পু বা কন্ডিশনের ব্যবহার করা যাবে না, এতে চুলের মেহেদীর কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। চুলে মেহেদি দিলে চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে, প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে, চুলের রুক্ষতা দূর করে, চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে ও চুল পড়া রোধে সাহায্য করে।

চুল পড়া রোধে দই

দুই হচ্ছে ভিটামিন বি-৫ প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। চুলের যত্নেও দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। দই শুধু মাথার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে তা নয়, চুল পড়া এবং খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দই অতুলনীয়। দই প্রাকৃতিক কন্ডিশনার, খুশকি দূর করে, চুল শক্তিশালী করে, চুল নরম করে, চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় ও মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে। এটি চুলের গোরা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং চুলের ক্ষতি প্রতিরোধ করে, আর চুল পড়া অনেকাংশে কমে যায়। দই মাথা ত্বকের মৃত কোষকে দূর করে, মাথার চুলকানি দূর করে। তাই দইয়ের ব্যবহার অবশ্যই আমাদের চুলে দরকার, চুলকে ভালো রাখতে হলে।  

লেখকের মন্তব্যঃ মেয়েদের মাথার চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

চুল পড়া বন্ধ করার জন্য অনেক প্রাকৃতিক স্বাস্থ্য এবং টিপস আছে আবার কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তারের জন্য হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে। তাই প্রাকৃতিকভাবে আমাদের চুলকে ভালো রাখতে যেসব টিপসের প্রয়োজন ছিল তা সবই বর্ণনা করা হলো। আশা রাখি এই টিপস অনুযায়ী যদি আপনি আপনার চুলের যত্ন নিতে পারেন তাহলে ইনশাল্লাহ আপনার চুল পড়া বন্ধ করা সম্ভব।    

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

তাওহীদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url