সুন্দরবনের মধুর উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য - সুন্দরবনের মধু কিভাবে সংগ্রহ করে
সুন্দরবনের মধুর উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানে না এমন মানুষ খুঁজে
পাওয়াই মুশকিল। পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না, যে মানুষ মধু ভালোবাসে
না। মধু খেতে কে না পছন্দ করে।আমাদের মুসলমান ভাইদের মধু খাওয়া সুন্নত। আমরা শুধু
মধু খেলেই হবে না মধুর ভিতর কি কি গুনাবলী আছে এবং মধু খেলে কি কি উপকার হয় সে
সম্পর্কে জানার প্রয়োজন।
আজ আপনি এই পোস্টটিতে জানতে চেয়েছেন সুন্দরবনের মধুর উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। এই পোস্টটিতে আমি আপনাদের সুন্দরবনের মধুর সম্পর্কে জানাতে চাই। চলুন, এই পোস্টটি আমরা পুরোপুরিভাবে পড়ি, জানি এবং শুনি মধুর উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ সুন্দরবনের মধুর উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য
- সুন্দরবনের মধুর উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে
- ত্বকের দাগ দূর করে
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে
- গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ করে
- দেহ প্রাণবন্ত রাখে
- সুন্দরবনের মধুর বৈশিষ্ট্য
- মধুর ঘনত্ব কেমন
- মধুর রং এর বিষয়ে
- মধুর ঘ্রাণ সম্পর্কে
- মধুর স্বাদ ও গন্ধ নিয়ে
- মধুর আর্দ্রতা নিয়ে
- প্রোটিনযুক্ত পোলেন মিশ্রিত
- সুন্দরবনের মধু কীভাবে সংগ্রহ করে
- লেখকের মন্তব্যঃ সুন্দরবনের মধুর উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য
সুন্দরবনের মধুর উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য
সুন্দরবনের মধু দেশে বিদেশে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই মধু অনেক সুস্বাদু এবং সুঘ্রাণের কারণে অন্যান্য মধুর থেকে ভিন্ন। যে কারণে মানুষ এই মধু খেতে পছন্দ করে। তাছাড়া পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে সুন্দরবনের মিশ্র ফুলের মধু সবচাইতে এগিয়ে। সাধারণতঃ যে কোন মধু কেনার সময় আমাদের অনেক বিষয়ের ওপর খেয়াল রাখতে হয়।
আরোও পড়ুনঃ লাউ এর উপকারিতা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে
- ত্বকের দাগ দূর করে
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে
- গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ করে
- দেহ প্রাণবন্ত রাখে
বিশেষ করে সুন্দরবনের মধুর বৈশিষ্ট্য গুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখতে হয়। না হলে সহজেই ভেজাল মধুর মধ্যে পরতে হয়। আমি আজকের এই পোস্টটিতে সুন্দরবনের মধুর উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য মধু অন্যতম উপাদান। বিশেষভাবে বলা যেতে পারে যে, সুন্দরবনের মধুতে বিভিন্ন ফুলের সংমিশ্রণ থাকাতে, রোগ প্রতিরোধ করা ক্ষমতার উপাদান বেশী। বিশেষ করে বলা যেতে পারে এই মধুতে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন, খনিজ ও বিভিন্ন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বিদ্যমান। এগুলো দেহের জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করার সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে
আমাদের দেহের রক্ত চলাচল করার জন্য মধুর সর্বোৎকৃষ্ট উপাদান। বেশিরভাগ মানুষই মধু খেয়ে থাকে শরীরে রক্ত চলাচল করার জন্য। কারণ একই সঙ্গে একটি মধুর মধ্যে এত ফুলের মধুর নির্যাস থাকে না। অন্যান্য মধু শুধু একটি ফুলের উপর নির্ভর করে তৈরি হয়। আর সুন্দরবনের মধুর বিষয়ে একদম আলাদা। সুন্দরবনের মধু খেলে দেহের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পেতে সহায়তা করে যা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
ত্বকের দাগ দূর করে
মধু একটি প্রাকৃতিক ভেষজের রূপচর্চার উপাদান। ত্বকের উপরে থাকা ব্রণ, মেছতা ময়লা, জীবাণু, শুষ্কতা বা মরা কোষ এবং কালো দাগ দূর করার জন্য মধু অনেকাংশে ভালোভাবে কাজ করে। তাই আপনি আপনার নিজের ত্বকটাকে মধুর হাতে তুলে দিতে পারেন। সুন্দরবনের ভিতর থেকে যে মৌয়াল মধু সংগ্রহ করে, সে আরও দ্রুত ও পরিপূর্ণভাবে কাজ করে। এই কারণে অনেক মানুষ এই মধু ত্বকে মাখার পাশাপাশি খাওয়ার জন্য সংগ্রহ করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
আমরা যা খাই তা যদি হজম করতে পারি তাহলে আমরা সে খাদ্য খেয়ে জিতে গেলাম। তাহলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি থাকারও দরকার। তাই হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য মধু অন্যতম। তবে আপনি যদি সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর সময় মধু খেলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য যেসব এনজাইম প্রয়োজন তার সবকিছুই সুন্দরবনের মধুতে পর্যাপ্ত মাত্রায় রয়েছে। সুন্দরবনের মধুতে এনজাইমগুলো হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে
সুন্দরবনের মধুর উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্যর মধ্যে মধু মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানসমূহ। এটি দেহের যৌন স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে সাহায্য করে। রসুন যেমন যৌন স্বাস্থ্য সুগঠিত রাখে, তেমনি মধুও একই কাজ করে কার্যকরীভাবে। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই আপনিও জানেন যে, প্রতিটি কবিরাজি ঔষুধের মধ্যে মধু অন্যতম। তাই নিঃশেষে বলা যায় কালোজিরার পরেই মধু সেরা।
গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ করে
মানুষ বলতেই গ্যাসের সমস্যা। গ্যাস সবাইকে আক্রমণ করে চলেছে। তাই এই গ্যাস থেকে রক্ষা করে মধু। মধু পরিমাণ মত এবং নিয়ম করে খেলে তা গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধানে কাজ করে। এই কারণে বেশিরভাগ মানুষ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু খায়। মধু খেয়ে অনেক মানুষ এই গ্যাস্ট্রিকের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। যে মধু যত খাঁটি তা তত ভালো কাজ দেয়। সেই কারণে সুন্দরবনের খাঁটি মধুর গুরুত্ব অপরিসীম।
দেহ প্রাণবন্ত রাখে
মধু আমাদের শরীরের জন্য মহৌষধ বলা হয়ে থাকে। মধু যখন আমরা নিয়মিত খাই, তখন কোন রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে না। সাধারণ রোগ যেমন- জ্বর, সর্দি ও ঠান্ডা জাতীয় সমস্যা সহ অন্যান্য সব রোগ থেকে বিরত রাখে। এতে দেহ বেশি সময় ধরে প্রাণবন্ত ও কর্মক্ষম থাকে। মধুর ক্ষমতায় যেন আমাদের শরীরে ক্ষমতা। তাই মধুর কোন কিছু ছোট করে দেখা যাবে না। আমাদের শরীরকে প্রতিনিয়ত সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে মধু অপরিসীম সাহায্য করে যাচ্ছে।
সুন্দরবনের মধুর বৈশিষ্ট্য
সুন্দরবনের মধু আমাদের দেশের সব চেয়ে মূল্যবান সম্পদ। বাংলাদেশের অন্যান্য মধুর মধ্যে সব থেকে উৎকৃষ্ট। পৃথিবীর মধ্যে বিরাট ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। সুন্দরবনে নানা রকম গাছ বিদ্যমান রয়েছে। এখানে অনেক ধরনের উদ্ভিদ জন্মায়। বাংলাদেশের সুন্দরবনে মার্চ মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত নানান ধরনের ফুল জন্মায়। এই ফুল গুলো থেকে মৌমাছিরা নেকটার নিয়ে চাক তৈরি করে। সেই চাক থেকে সরাসরি সংগ্রহ করা মধু, সারাদেশের মধ্যে সব থেকে উৎকৃষ্ট মানের মধু হিসেবে পরিচিত।
আরোও পড়ুনঃ রূপচর্চায় পুদিনা পাতার ব্যবহার
সাধারণত সুন্দরবনে মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত মধু সংগ্রহের সময়। এই সময় মধু সংগ্রহ করার জন্য মৈয়াল গণ দল বেঁধে বনের ভেতরে প্রবেশ করে। সাধারণত সুন্দরবনে যেসব ফুলের মধু পাওয়া যায়, তন্মধ্যে খলিশা ফুল, গড়ান ফুল, কেওড়া ফুল ও বাইন গাছের ফুল প্রধান। সুন্দরবনের মধু বলতেই আমরা এই চারটি ফুলের মধুর কথা বলি। মধুর বৈশিষ্ট্যগুলো হলো যেমন-
- মধুর ঘনত্ব কেমন
- মধুর রং এর বিষয়ে
- মধুর ঘ্রাণ সম্পর্কে
- মধুর স্বাদ ও গন্ধ নিয়ে
- মধুর আর্দ্রতা নিয়ে
- প্রোটিনযুক্ত পোলেন মিশ্রিত
এই কারণে সুন্দরবনের মধুর স্বাদ সর্বত্র জায়গায় একই রকম হয় না। যে কারণে এই বিষয়ে সচেতন আমাদের হতে হবে। না হলে আমরা ধোঁকা খাবো এবং ভেজাল মধুর খপ্পরে পরতে হবে। নিম্নে সুন্দরবনের খাঁটি মধুর বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
মধুর ঘনত্ব কেমন
সুন্দরবনের মধু পাতলা হয়। আপনি যখন এই মধু হাতের আঙুলে নেবেন তখন আপনি মনে করবেন যে মধু হাতে নিলাম না পানি হাতে নিলাম এবং পানির মত পিছলে পরে যাবে। ঘনত্ব কমে যাওয়ার কারণে যখন একপাত্র থেকে অন্য পাত্রে ঢালা হয় তখন দুধের মত সাদা ফেনা হয় কিংবা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বহন করলে তখন দুধের মত সাদা ফেনা হয়।ফেনার মধ্যে গ্যাসের সৃষ্টি হয়।
আরোও পড়ুনঃ কচু শাকের উপকারীতা
যেমন ডিটারজেন্ট পাউডারের সাথে পানি মিশিয়ে ঝাঁকি দিলে যেরকম ফেনার সৃষ্টি হয় ঠিক তেমনি। অতি সহজেই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়। যে পাত্রে মধু ছিল ঠিক সেই পাত্রে স্থির ভাবে রাখতে হয় যেন মধুর ফেনা বিলীন হয়ে যাবে এবং গ্যাস দূর হয়ে যাবে।
মধুর রং এর বিষয়ে
সুন্দরবনের মধু বেশিরভাগ অ্যাম্বার রঙের হয়। যেহেতু এখানে বিভিন্ন ফুলের মিশ্রণে মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে, সেহেতু এটি রঙের দিক দিয়ে কিছু ভিন্ন রকম দেখা যায়। কিন্তু মধুর প্রধান রং অ্যাম্বার থাকলেও তা লাইট, ডার্ক বা হালকা ডার্ক হতে পারে। তবে মধুর রং দেখে যাচাই-বাছাই করে নিবেন, যাতে মৌয়ালরা অতিরিক্ত রং না মেশাতে পারে। প্রয়োজনে মধুর রং চেক করে নেবেন।
মধুর ঘ্রাণ সম্পর্কে
সুন্দরবনের মধুর এত নাম ডাক সুঘ্রাণের কারনে। সাধারণত সুন্দরবনের মধু হচ্ছে নানান রকমের ফুলের সংমিশ্রণ। প্রতিটি ফুলের ভিন্ন ভিন্ন ঘ্রাণ ও বৈশিষ্ট্য আছে। এই কারণে সুন্দরবনের মধু থেকে অনেক উৎকৃষ্ট ঘ্রাণ আসে। এছাড়া এতে একটু হালকা হালকা টক ঘ্রাণ থাকে। মধুর নাকে নিলেই ঘ্রাণ করবে কিন্তু সেই ঘ্রাণ আপনার পরিচিত থাকতে হবে। মৌয়ালরা অনেক সময় ঘ্রাণ পাউডার মিক্সচার করে।
মধুর স্বাদ ও গন্ধ নিয়ে
অন্যান্য মধুর চেয়ে সুন্দরবনের মধুর স্বাদ ও গন্ধ আলাদা। কেওড়া ফুলের মধুর কারণে সুন্দরবনের মধু একটু টক হয়। তাই এই ফুলের মধু একটু টক লাগতে পারে। আর সুন্দরবনের মধুতে এই ফুলের নেকটার অবশ্যই উপস্থিত থাকে। এই জন্য স্বাদ টক টক কিন্তু মিষ্টি লাগে। অন্যদিকে এই মধুতে চিনির থেকে কমপক্ষে ১ থেকে ১.৫ গুন বেশি মিষ্টি থাকে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটু সতর্কতা থাকতে হবে, যাতে বেশি মধু খেয়ে ডায়াবেটিসের পয়েন্ট না বাড়ে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
মধুর আর্দ্রতা নিয়ে
সমুদ্রের ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি এলাকায় বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকে।বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকার কারণে সুন্দরবনের মধুতে আর্দ্রতা বেশি থাকে।মধুতে আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে মধু পাতলা ও হালকা রঙের হয়ে থাকে। পাতলা হলেই যে মধু খারাপ তা কিন্তু নয়। সুন্দরবনের মধুর বৈশিষ্ট্যই এমন। কিন্তু সুন্দরবনের মধুর নামে কেউ ঘন মধু বিক্রি করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
প্রোটিনযুক্ত পোলেন মিশ্রিত
সুন্দরবনের মধুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিনযুক্ত পোলেন থাকে। এটি চাক থেকে মধু বের করার পরে যে পাত্রে রাখা হয়। সেই পাত্রের তরল মধুর উপরে একটি লেয়ার বা আস্তরণ পরে। এটাকে আমরা প্রোটিনযুক্ত পোলেন বলে থাকি। যদি আপনি সরাসরি মধু কিনতে চান। তাহলে সুন্দরবনের আশেপাশের এলাকা থেকে এই মধু কিনতে হবে। আর মধু কিনলে অবশ্যই এটি দেখে-শুনে নিবেন। আপনি যদি অনলাইনে মধু কিনতে চান। তখন তারা প্রোটিনযুক্ত পোলেন স্তরটি ছেঁকে বোতলজাত করে, তারপর অনলাইনে বিক্রি করে। এই জন্য পোলেন না থাকলে কোন বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।
সুন্দরবনের মধু কীভাবে সংগ্রহ করে
প্রাচীনকাল থেকে মানুষ সুন্দরবনের মধু সংগ্রহ করে আসছে। সারা বছর ধরেই মানুষ কিছু না কিছু অল্প হলেও মধু সংগ্রহ করে আসছে। কিন্তু আসলে সুন্দরবন থেকে মধু তোলার প্রধান সময় হল মার্চ মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত। কারণ এই সময় সুন্দরবনে নানা ধরনের ফুল ফোটে। সেগুলো থেকে নেকটার সংগ্রহ করে তা চাকে জমা করে মধুতে পরিণত হয়।পরবর্তীতে, মৌয়াল রা দল বেঁধে বড় পরিসরে ধোঁওয়া দিয়ে মৌমাছি তাড়িয়ে তা থেকে মধু সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে তারা হাট-বাজারে বিক্রি করে। সেইখান থেকে মধু পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়।
লেখকের মন্তব্যঃ সুন্দরবনের মধুর উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য
উপরোল্লেখিত মধুর উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হলো। এখানে অল্প কিছু টপিক নিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। আশাকরি এই পোষ্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন এবং অন্যদেরকে মধুর উপকারিতা ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলতে পারবেন।
তাওহীদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url